Tuesday, 21 April 2020

নবম শ্রেণীর ইতিহাস , বিসমার্কের রক্ত ও লৌহ নীতি এবং জার্মানির ঐক্যসাধন ।

আজকের পাঠ্য বিষয় ,নবম শ্রেণীর ইতিহাস ,তৃতীয় অধ্যায়,বিসমার্কের রক্ত ও লৌহ নীতি এবং জার্মানির ঐক্য আন্দোলন । 
       ঐক্যবদ্ধ জার্মানির প্রতিষ্ঠাতা অটো ফন বিসমার্ক ছিলেন কূটনীতির জাদুকর । তার কূটনৈতিক দক্ষতা ,রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি ও গঠনমূলক দৃষ্টির জন্য ইতিহাসে তিনি এক প্রবাদপুরুষে পরিণত হয়েছেন । তিনি রিয়েল পলিটিক বা বাস্তব রাজনীতির প্রবর্তক ছিলেন অর্থাৎ শত্রুপক্ষকে মিত্রহীন করে লক্ষ্য সাধন করাই ছিল তার নীতির মূল লক্ষ্য । বিসমার্কের বাস্তবমুখী কূটনীতিতে ন্যায় নীতি ছিল গৌণ । শত্রুকে পরাজিত করার জন্য যেকোনো কাজ করতে তিনি কুণ্ঠাবোধ করতেন না । বিসমার্ক তার আত্মজীবনীতে বলেন যে এথিক্স বা ন্যায়নীতি ব্যক্তির জীবনে বাধ্যতামূলক হলেও রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এই গোঁড়ামি না করাই ভালো । সমকালীন যুগে তার সফলতার কারণে তিনি প্রশংসিত হলেও পরবর্তীকালে তিনি সমালোচিত হন । তিনি জার্মানির ঐক্য সাধনের জন্য রক্ত ও লৌহ নীতি প্রয়োগ করেন । তিনি বলেন যুদ্ধ এবং সফল কূটনীতির  মাধ্যমেই জার্মানির ঐক্য সম্ভব ।
         জার্মানির ঐক্য সাধনের জন্য তাকে ডেনমার্ক , অস্ট্রিয়া ও ফ্রান্সের বিরুদ্ধে মোট তিনটি যুদ্ধ করতে হয় । প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বিসমার্ক বলেন ডেনমার্কের রাজা 1852 সালের লন্ডন চুক্তি ভঙ্গ করেছেন । বিসমার্ক ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণে থাকা ডার্চি দুটির ক্ষেত্রে পূর্বের অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিলে ডেনমার্কের রাজা তা অমান্য করেন । বিসমার্ক এর নেতৃত্বে 1লা ফেব্রুয়ারি অস্ট্রিয়া প্রাশিয়ার সেনারা ডার্চি দুটিতে প্রবেশ করে ।  যুদ্ধে ডেনমার্কের বাহিনী পরাজিত হয় । 1864 সালে ভিয়েনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । রাজা নবম ক্রিশ্চিয়ান চুক্তির  শর্ত মেনে স্লেজভিগ ও হলস্টিনের ওপর কর্তৃত্ব ছেড়ে দেন ।  ডাচি দুটিতে প্রাশিয়া ও অস্ট্রিয়ার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় ।
        বিসমার্ক প্রাশিয়াবাসীকে বুঝিয়ে দেন অস্ট্রিয়াকে যুদ্ধের দ্বারা জার্মানি থেকে বহিষ্কার করে প্রাশিয়ার অধীনে জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে । এটাই ইতিহাসের নির্দেশ । প্রাশিয়ার রাজা প্রথম উইলিয়াম ভ্রাতৃপ্রতিম জার্মান দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে ইতস্ততঃ দেখালে তাকে ভর্ৎসনা করে বলেন প্রাশিয়ার স্বার্থে অস্ট্রিয়াকে বহিস্কার করতে হবে । ক্ষুদ্র প্রাশিয়া এই অসম যুদ্ধে সফল হবে কিনা এটা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেন । বিসমার্ক তাদের বলেন যখন একটি নেকড়ে বাঘ এক পাল মেষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তখন সে কতগুলি মেষ আছে গুনে দেখেনা । তার সাহস ও তেজ তাকে সফলতা দেয় । বিসমার্ক কূটনীতির দ্বারা অস্ট্রিয়াকে মিত্রহীন করেন ,এর ফলে অস্ট্রিয়াকে প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাই লড়তে হয় এবং অস্ট্রিয়ার পরাজয় হয় । উল্লেখ্য , তিনি প্রাশিয়া অস্ট্রিয়া যুদ্ধের সময় ফ্রান্সকে নিরপেক্ষ রাখেন । 1866 খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়া ও প্রাশিয়ার মধ্যে 49 দিন ধরে স্যাডোয়ার যুদ্ধ চলে । শেষ পর্যন্ত অস্ট্রিয়া এই যুদ্ধে চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয় ।
        এরপর বিসমার্ক ফ্রান্সের শত্রুতায় বিরক্ত হয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হন তিনি তৃতীয় নেপোলিয়নের বৈদেশিক নীতির ভুলগুলি ব্যবহার করে ফ্রান্সকে মিত্রহীন করেন । স্পেনের সিংহাসন উপলক্ষে তিনি এমন কূটনৈতিক কৌশল দেখান যে ফ্রান্সই জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে আক্রমণকারী রূপে চিহ্নিত হয় । তৃতীয় নেপোলিয়নের পতন হয় । ফ্রাঙ্কফুর্টের সন্ধি দ্বারা ফ্রান্স নতজানু হয়ে আলসাস ও লোরেন ছেড়ে দেয় । দক্ষিণ জার্মানি মূল জার্মানির সঙ্গে সংযুক্ত হয় । বিসমার্ক এক সংবিধান দ্বারা ঐক্যবদ্ধ জার্মানির প্রতিষ্ঠা করেন ।
       স্পেনের উত্তরাধিকার সংক্রান্ত ফরাসি দূত বেনেদিতের সঙ্গে রাজা উইলিয়ামের আলোচনার বিষয়টি রাজা উইলিয়াম এমস থেকে টেলিগ্রাম মারফত জানান । বিসমার্ক টেলিগ্রামের কিছু অংশ বাদ দিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশ করেন । এরফলে জার্মানবাসীর ধারণা হয় ফরাসি দূত  রাজাকে অপমান করেছেন , ফরাসিবাসীর ধারণা হয় রাজা উইলিয়াম ফরাসী দূতকে অপমান করেছেন । এর ফলে শুরু হয় ফ্রাঙ্কো প্রাশিয়া  যুদ্ধ যা সেডানের যুদ্ধ নামে পরিচিত  ( 1870 খ্রীস্টাব্দ )। এই বিষয়টি এমস টেলিগ্রাম নামে পরিচিত ।
      এখান থেকে তোমরা যে প্রশ্নগুলো করবে , বিসমার্ককে কেন কূটনীতির জাদুকর বলা হয় , রক্ত ও লৌহ নীতি কে প্রবর্তন করেন , বিসমার্ক জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য কয়টি যুদ্ধ করেন , সেডানের যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে হয়েছিল , স্যাডোয়ার যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে হয়েছিল , এমস টেলিগ্রাম বলতে কী বোঝো ?
          কোন প্রশ্ন থাকলে বা কিছু জানার থাকলে এই হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে জানাতে হবে 8597510299 .

Sunday, 19 April 2020

লকডাউনে খাদ্য সামগ্রী বিলি চাঠরায় ।

      ভারত নিউজ , চাঠরা , তমলুক -  আজ পূর্ব মেদিনীপুর নেটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে চিত্রা ও হোগলবেড়িয়া গ্রামের প্রায় একশোটি দুঃস্থ পরিবারকে চাল,ডাল,তেল,আলু,মশলা প্রভৃতি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয় । এই সেবামূলক কাজে উদ্যোগী হন পূর্ব মেদিনীপুর নেটবল অ্যাসোসিয়েশনের ক্রীড়া সম্পাদক সৌভিক কর , সভাপতি বীরেন জানা , ক্রীড়া শিক্ষক সুমন বৈদ্য , নন্দলাল কর , সুদীপ্ত প্রামাণিক এবং অন্যান্যরা । ( ভারত নিউজ সাহায্য গ্রহণকারীদের ছবি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ) ।

Friday, 17 April 2020

নবম শ্রেণী , ইতিহাস, তৃতীয় অধ্যায়, ইতালির ঐক্য আন্দোলন ।

        কার্বোনারি আন্দোলন - এটি একটি গুপ্ত বিপ্লবী সমিতি । এরা গুপ্তহত্যা ও সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ইতালির ঐক্যসাধনের স্বপ্ন দেখতো । তারা জ্বলন্ত অঙ্গার বহন করতো তাই কার্বোনারি নামে পরিচিত । তবে, অস্ট্রিয় পুলিশের দমন পীড়নের কারণে তারা বেশীদূর এগোতে পারেনি । ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দের পর তাদের আর অস্তিত্ব ছিলনা ।
        ইয়ং ইতালি - ইতালির ঐক্য আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন যোসেফ ম্যাৎসিনি । তিনি ইয়ং ইতালি গড়ে তোলেন । তিনি ইতালির ঐক্য আন্দোলনে বিদেশী শক্তির সাহায্য নেওয়ার বিরোধী ছিলেন । তিনি বলেন জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ইতালির তরুণরা আত্মশক্তির সাহায্যে ইতালির ঐক্যসাধন করবে । ম্যাৎসিনি ছিলেন ভাববাদী । এভাবে তিনি ইতালির ঐক্য আন্দোলনের 'spiritual force' টি গড়ে তোলেন । তিনি ইয়ং ইতালি গড়ে তোলেন । ইয়ং ইতালি ইতালির তরুণদের মধ্যে  জাতীয়তাবাদের সঞ্চার ঘটায় এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে । এভাবে, ম্যাৎসিনি ইতালির ঐক্য সাধনের প্রাথমিক ক্ষেত্রটি প্রস্তুত করেন ।
        রিসর্জিমেণ্টো - রিসর্জিমেণ্টো কথাটির অর্থ হলো ইতালির নবজাগরণ । ইতালির বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ইতালির অতীত গৌরবের কথা তুলে ধরা হয় । সেইসঙ্গে দেশপ্রেম জাগরিত করা হয় । 
        ক্যাভুর - ইতালির ঐক্য সাধনের পুরো কাজটি ক্যাভুর সম্পন্ন করেন । ইতালির ঐক্য ছিল ক্যাভুরের কাছে লাইফ ওয়ার্ক । তিনি ছিলেন বাস্তববাদী । তিনি ক্যাভুর নির্দেশিত পথ থেকে সরে এসে ইতালির ঐক্য আন্দোলনে বিদেশী শক্তির সাহায্য নেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন ।১৮৫৮ খ্রীষ্টাব্দে তিনি তৃতীয় নেপোলিয়নের সঙ্গে প্লোমবিয়ার্সের চুক্তি স্বাক্ষর করেন । রাশিয়া ও ফ্রান্সের সহযোগিতায় ক্যাভুর ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়াকে পরাজিত করেন । পরাজিত অস্ট্রিয়া বিজয়ী শক্তিবর্গের সঙ্গে ভিল্লাফ্রাঙ্কার চুক্তি স্বাক্ষর করে । তবে, তখনও ইতালির কিছু স্হান বিদেশী নিয়ন্ত্রিত থেকে যায় । 
       গ্যারিবল্ডি  - গ্যারিবল্ডির হাজার হাজার লালকোর্তা সেনা দক্ষিণ ইটালিতে নামে । তিনি সিসিলি ও নেপলস দখল করেন । এখানে অস্ট্রিয়ার বুরবোঁ বংশের শাসকরা রাজত্ব করতো । সেখানে রাজা দ্বিতীয় ভিক্টর ইমানুয়েলের সেনারা প্রবেশ করে । বুরবোঁ শাসকরা পরাজিত হয় । নেপলস ও সিসিলি ইতালির সঙ্গে সংযুক্ত হয় । ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে রাজা ভিক্টর ইমানুয়েল ইতালির পরবর্তী রাজা হন । ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্স প্রাশিয়ার কাছে হেরে গেলে ক্যাভুর ভেনিস ও রোম লাভ করে । এভাবে, ইতালির ঐক্য সাধনের কাজটি সম্পন্ন হয় ।
       এখানে যে প্রশ্নগুলো করবে- কার্বোনারি বলতে কি বোঝ, ইয়ং ইতালি কি , রিসর্জিমেণ্টো বলতে কি বোঝ, ইতালির ঐক্য আন্দোলনে ম্যাৎসিনি ও ক্যাভুরের ভূমিকা কি ছিল এগুলো করবে । 
      সবাই বাড়িতে থাকবে ও সুস্থ্য থাকবে । হোয়াটস অ্যাপ - 9932881330

বাংলায় এই প্রথম করোনা মোকাবিলায় বসানো হল স্যানিটাইজেসন টানেল ।

কলকাতা পুরসংস্থার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তরফে এই প্রথম শহরে  এক সাথে বসানো হল  দুটি স্যানিটাইজেসন টানেল ,পাটুলি ও রামগড় বাজারে।এই টানেলে প্রবেশ করলেই স্যানিটাইজারের সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইডের বাষ্পে জীবাণুমুক্ত হয়ে যাবেন প্রত্যেকে।

Thursday, 16 April 2020

প্রাথমিকের ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনলাইনে ক্লাস করাচ্ছেন পাঁশকুড়ার ' শিক্ষারত্ন ' শিক্ষিকা দুর্গারাণী দে ।

        ভারত নিউজ , পাঁশকুড়া - প্রাথমিকের ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে বসে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করেছেন পাঁশকুড়ার নারান্দা নিউ প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা শিক্ষারত্ন দুর্গারাণী দে । ফেসবুকে সার্চিং করতে হবে DURGA RANI DEY , Durga Dey , হোয়াটস অ্যাপ নম্বর - 9434571411 , 9732550389 . ইউটিউবে Durga Dey . প্রাথমিকের সমস্ত বিষয় তিনি অনলাইনে পড়াচ্ছেন । উল্লেখ্য, তাঁর একমাত্র পুত্র চিকিৎসক । দেশের সংকটের সময় পুত্র চিকিৎসার কাজে লিপ্ত রয়েছেন এবং তিনি অনলাইনে শিক্ষকতার কাজে যুক্ত আছেন । পতি সমীর কুমার মন্ডল পাঁশকুড়া ব্রাডলী বার্ট হাইস্কুলের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক । এছাড়া, তিনি সমাজসেবার কাজেও যুক্ত থাকেন । অনাড়ম্বর, সাদামাঠা জীবনযাপনে অভ্যস্ত এই শিক্ষিকা স্কুল হোক বা বাড়ি ছাত্রছাত্রীদের জন্যই অধিকাংশ সময়টা ব্যয় করেন ।

নবম শ্রেণীর ইতিহাস , তৃতীয় অধ্যায় , ভিয়েনা সম্মেলন ও মেটারনিখ ।


       নেপোলিয়নের পতনের পর ইউরোপের বিজয়ী মিত্রশক্তিবর্গ অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে এক সম্মেলনে মিলিত হন ।এই সম্মেলনের দুটি উদ্দেশ্য ছিল নেপোলিয়নের পক্ষ গ্রহণকারী দেশ গুলির শাস্তি বিধান এবং ইউরোপের পুনর্গঠন । সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দিলেও আসল ক্ষমতা ছিল চারটি শক্তির হাতে - ইংল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ,রাশিয়া ,ও প্রাশিয়া । এই সম্মেলনের মধ্যমনি ছিলেন অস্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রিন্স মেটারনিক । উপস্থিত ছিলেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্যাসালরি ,রাশিয়ার জার প্রথম আলেকজান্ডার ।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পরাজিত ফ্রান্সের প্রতিনিধি ত্যালিরা । ভিয়েনা সম্মেলনে তিনটি নীতি নেওয়া হয়েছিল - ন্যায্য অধিকার নীতি , শক্তিসাম্য নীতি ও ক্ষতিপূরণ নীতি ।
       ন্যায্য অধিকার নীতি অনুসারে নেপোলিয়নীয়  বিপ্লবের পূর্বে ইউরোপে যে বংশগুলি রাজত্ব করত তাদের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা । এই নীতি অনুসারে ফ্রান্সের সিংহাসনে বুরবো রাজবংশকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয় । ক্ষতিপূরণ নীতি অনুসারে নেপোলিয়নের সঙ্গে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ভূখণ্ড প্রদান করা হয় । শক্তিসাম্য নীতি অনুসারে ইউরোপে একক শক্তি বা নেপোলিয়নের মত একক ব্যক্তির আধিপত্য রোধ করা হয় ।এর সঙ্গে ফ্রান্সের শক্তি ক্ষয় করা হয় এবং ফ্রান্সের সীমানাকে সেইভাবে নির্ধারণ করা হয় । 
       মেটারনিখ ১৮০৮ থেকে ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ছিলেন । ১৮১৫ থেকে১৮৪৮ খ্রীষ্টাব্দ এই সময়কালে তিনি ইউরোপের মধ্যমনি হয়ে গিয়েছিলেন । এই সময়কালে ইউরোপের রাজনীতি তারই নির্দেশ ও পরিচালনায় চালিত হয়েছিল । তিনি অস্ট্রিয়াকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেন । তার উদ্দেশ্য ছিল ইউরোপে পুরাতনতন্তর পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা । তার মতে বিপ্লবী ভাবধারা একটি সংক্রামক ব্যাধির মতো এবং তা এক দেশ থেকে আরেক দেশে বিস্তারিত হয় এবং প্রতিষ্ঠিত রাজবংশকে ভেঙে ফেলে । এই কারণে নেপোলিয়নের পতনের পর তিনি বিপ্লবী ভাবধারার গতিরোধ করেন , ইউরোপে পুরাতন রাজবংশগুলিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন এবং স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলেন । জার্মানিতে অস্ট্রিয়ার আধিপত্য বজায় রাখার জন্য এবং বিপ্লবী ভাবধারার প্রসার রোধ করার জন্য কার্লসবাড ডিক্রি জারি করেন ১৮১৯ খ্রীষ্টাব্দে ।এর ফলে জার্মানিতে - সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করা হয় ,উদারপন্থী অধ্যাপকরা বিতাড়িত হন ,বিপ্লবী ছাত্ররা কারারূদ্ধ হন , বিপ্লবী ছাত্র ও অধ্যাপকদের উপর নজর রাখার জন্য একটি কমিশন গঠিত হয় । 
     1815 থেকে 1848 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালকে মেটারনিক তন্ত্র বলা হয় কারণ এই সময়ে ইউরোপের রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি পুরোপুরি মেটারনিকের নির্দেশ ও প্রয়োগকৌশলে চালিত হয়েছিল । তবে মেটারনিকতন্ত্রের একটা সুফল ছিল । এই সময়কালে ইউরোপ যুদ্ধমুক্ত হয়ে থাকে । এর ফলে তার শিল্প-সংস্কৃতি প্রভৃতির বিকাশ ঘটে । 1848 খ্রিস্টাব্দের বিপ্লবের আঘাতে মেটারনিকতন্ত্রের পতন ঘটে । পতনের কারণগুলি  ছিল মেটারনিখতন্ত্র কোন গণতান্ত্রিক ভাবধারার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠেনি । এটা ছিল পুরোপুরি যুগধর্ম বিরোধী । রক্ষণশীলতার প্রাচীর তুলে যুগের হাওয়াকে বেশি দিন আটকে রাখা মেটারনিকতন্ত্রের পক্ষে সম্ভব হয়নি । এই কারণে মেটারনিকতন্ত্রের পতন হয় । মেটারনিক ইংল্যান্ডে  পালিয়ে যান । 
   ছাত্র-ছাত্রীরা এখান থেকে কয়েকটা প্রশ্ন করবে - ভিয়েনা সম্মেলন কবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ,ভিয়েনা সম্মেলনের চার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব কারা ছিলেন, ভিয়েনা সম্মেলনের মধ্যমনি কারা ছিলেন ,ভিয়েনা সম্মেলনের তিনটি নীতি কি ছিল ,মেটারনিকতন্ত্র বলতে কী বোঝো , মেটারনিক তন্ত্রের কেন পতন হয় , কার্লসবার্ড ডিগ্রী বলতে কী বোঝো এগুলো করবে । 
     আবার আমি তোমাদের সঙ্গে অনলাইন ক্লাসে আসবো । তোমরা সবাই বাড়িতে থাকবে , সুস্থ থাকবে । নমস্কার ।

Tuesday, 14 April 2020

নবম শ্রেণীর অনলাইন ইতিহাস ক্লাস , চতুর্থ অধ্যায় ।

       চতুর্থ অধ্যায় , শিল্প বিপ্লব, উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ ।
যখন হস্তচালিত উৎপাদনের বদলে যন্ত্রনির্ভর উৎপাদন হয় সেই ব্যবস্হাকে বলা হয় শিল্পবিপ্লব । এর ফলে অনেক কম সময়ে , কম পরিশ্রমে , কম খরচে , অধিক উৎপাদন করা যায় । ফরাসি সমাজতান্ত্রিক অগাস্তি ব্ল্যাংকি 1837 খ্রিস্টাব্দে শিল্প বিপ্লব কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন । পরে ইংরেজ ঐতিহাসিক আর্নল্ড টয়েনবি এই নামটি প্রয়োগ করেন । আঠারো শতকের শেষ পর্বে ইংল্যান্ডে প্রথম শিল্প বিপ্লব দেখা দেয় পরে তা ফ্রান্স ,বেলজিয়াম ,জার্মানি ,রাশিয়া প্রভৃতি দেশে বিস্তার লাভ করে । 
      বিপ্লবের ফলে প্রথমে যে পরিবর্তনগুলি এসেছিল সেগুলি হল 1733 খ্রিস্টাব্দে জন কে ফ্লাইং শাটল উড়ন্ত মাকু আবিষ্কার করেন ,1765 খ্রিস্টাব্দে জেমস হারগ্রিভস সুতো কাটার যন্ত্র স্পিনিং জেনি আবিষ্কার করেন । আর্করাইট ওয়াটার ফ্রেম আবিষ্কার করেন । 1769 খ্রিস্টাব্দে জেমস ওয়াট আবিষ্কার করেন বাষ্পচালিত ইঞ্জিন । হামফ্রে ডেভি আবিষ্কার করেন খনিতে শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য সেফটি ল্যাম্প । ম্যাকডাম  আবিষ্কার করেন পিচ রাস্তা তৈরীর কৌশল। 
      আর্নল্ড টয়েনবির মতে 1760 খ্রিস্টাব্দে শিল্প বিপ্লবের সূচনা হয় । হফম্যানের মতে শিল্প বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল 1780 খ্রিস্টাব্দে । 
      ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম শিল্প বিপ্লব হয়েছিল তার কারণ ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লবের অনুকূল পরিবেশ ছিল । শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রথমে দরকার কৃষি বিপ্লব এবং সেটা ইংল্যান্ডে হয়েছিল । এছাড়া , ইংল্যান্ডের শাসকদের শিল্পের প্রতি আগ্রহ ছিল , ইংল্যান্ডের কৃষকরাও শহরে এসে কারখানায় কাজ করতে আগ্রহী ছিল , শিল্পের জন্য প্রয়োজন উন্নত পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সেটা ইংল্যান্ডে হয়ে গিয়েছিল । শিল্প বিপ্লবের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো মূলধন ও কাঁচামাল । এশিয়া ও আফ্রিকার অনুন্নত দেশগুলোতে উপনিবেশ বিস্তারের ফলে মূলধন ও শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সরবরাহে সুবিধে হয় । উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে বস্ত্র শিল্পের জন্য কাঁচামাল হিসেবে তুলোর প্রয়োজন যেটা উপনিবেশ থেকে সরবরাহ হয়েছিল আবার শিল্পে উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য বাজার দরকার এক্ষেত্রে উপনিবেশগুলির বিরাট বাজার ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লবে সহায়তা করেছিল । বাংলায় পলাশীর যুদ্ধের পর কোম্পানি বিভিন্ন পন্থায় প্রভূত অর্থ ভারত থেকে বিলেতে পাচার করেছিল সেই অর্থ ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লবে মূলধন হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল । এছাড়া শিল্প বিপ্লবের জন্য দরকার প্রযুক্তি যেটাতে ইংল্যান্ড এগিয়ে ছিল । এক্ষেত্রেও পলাশীর যুদ্ধের পর ভারত থেকে পাওয়া বিপুল অর্থ ইংল্যান্ড বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও গবেষণার কাজে ব্যয় করেছিল । ইংল্যান্ডে এই সময় সুলভে শ্রমিকও পাওয়া যেতো । 
         ফান্স , জার্মানি , রাশিয়া প্রভৃতি দেশে শিল্প বিপ্লব দেরিতে হয়েছিল। ফ্রান্সের ক্ষেত্রে শাসকদের শিল্পের প্রতি কিছুটা উদাসীনতা ছিল , ফ্রান্সে অর্থ থাকলেও সেটা ফরাসি রাজপরিবারের অমিতব্যয়িতায় নষ্ট হয় , ফ্রান্সের বুরবো রাজপরিবার ভেবেছিল শিল্প হলে সমাজব্যবস্থায় ও মানুষের মানসিকতায় পরিবর্তন আসবে ,শহরের প্রতিষ্ঠা হবে ,গ্রামীণ সমাজব্যবস্থা ভেঙে পড়বে আর তাতে বুরবো বংশ তার স্বৈরাচারী আধিপত্য হারাবে । এছাড়া ফ্রান্স যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রযুক্তি প্রভৃতি ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল । ফ্রান্সের মানুষ গ্রামীণ কৃষিব্যবস্থা ছেড়ে শহরের শিল্পে শ্রমিকের কাজ করতে খুব একটা আগ্রহী ছিল না । ফ্রান্সের তখনো পর্যন্ত উপনিবেশ ছিল না ফলে শিল্পের জন্য কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্যের বাজারের অভাব ছিল ।
        জার্মানিতে শিল্প বিপ্লব বিলম্বিত হয়েছিল কারণ জার্মানি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত ছিল এবং রাজ্যগুলির মধ্যে কোন ঐক্য ছিলনা । পরবর্তীকালে জোলভেরিন বা শুল্কসঙ্ঘ গড়ে উঠলে জার্মানির শিল্প বিপ্লবের পথ প্রশস্ত হয়েছিল । মূলত বিসমার্কের প্রচেষ্টায় জার্মানিতে শিল্প বিপ্লবের অনুকূল ক্ষেত্র তৈরি হয়েছিল।
        রাশিয়াতে অনেক পরে শিল্পবিপ্লব হয় কারণ রাশিয়ায় জারের শাসনে রাশিয়া ছিল একটি কৃষি ভিত্তিক অনগ্রসর রাষ্ট্র ।রাশিয়ায় ভূমিদাস প্রথা প্রচলিত ছিল এবং রাশিয়ায় অর্থনীতির ভিত্তি ছিল ভূমি দাস । শিল্প হলে সাবেকি সমাজ ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়তো ।জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার 1861 খ্রিস্টাব্দে ভূমিদাসদের মুক্তি দেন । মুক্তিপ্রাপ্ত ভূমিদাসরা শ্রমিকের কাজ করতে থাকে ।এভাবে রাশিয়ায় শিল্প বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল ।
      শিল্প বিপ্লবের ফলে সমাজব্যবস্থায়, অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন এসেছিল ।গ্রামীণ কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির স্হলে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির প্রতিষ্ঠা হয় । সামন্ততান্ত্রিক কাঠামোতে ভাঙন ধরে । এতদিন সামন্তদের দ্বারা কৃষকেরা শোষিত হয়েছিল এখন শিল্প মালিকদের দ্বারা শ্রমিকেরা শোষিত হয় । সামন্ততান্ত্রিক অর্থনীতি ধনতান্ত্রিক অর্থনীতিতে পরিণত হয় । বড় বড় শহর ও বৃহৎ কারখানা গড়ে ওঠে । শ্রমিকেরা গ্রাম ছেড়ে শহরে আসে এবং কারখানা সংলগ্ন এলাকাতে বস্তি করে বসবাস করতে থাকে । পুঁজিবাদ ও শোষণ থেকেই সমাজতন্ত্রবাদের উদ্ভব হয় । মূলত কাল মার্কস ও অ্যাঙ্গেলস সমাজতন্ত্রবাদের উদ্ভব ও প্রসার ঘটিয়েছিলেন । শিল্প বিপ্লবের আরেকটি তাৎপর্য ছিল উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের প্রসার কারণ শিল্পের জন্য প্রয়োজন মূলধন ,কাঁচামাল এবং শিল্পে উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য বাজার দরকার । নিজ দেশে সেটা সীমিত তাই প্রয়োজন হল উপনিবেশ গড়ে তোলা । প্রথমদিকে ইংল্যান্ড একাই শিল্প গড়ে তোলে ও উপনিবেশ বিস্তার করে । পরবর্তীকালে তার রাস্তায় ফ্রান্স, জার্মানি ,রাশিয়া প্রভৃতি শিল্পোন্নত দেশগুলি আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করলে শুরু হয় ঔপনিবেশিক প্রতিদ্বন্দ্বীতা এবং সাম্রাজ্যবাদ ।
       শিল্প বিপ্লবের আরেকটি বৈশিষ্ট্য ছিল নারীরা গৃহকোন থেকে বেরিয়ে আসে এবং শিল্পে শ্রমিকের কাজ শুরু করে । শিল্পমালিকরা নারী শ্রমিকদের কাজে নিয়োগ করতে আগ্রহী ছিল কারণ তারা মালিকের অনুগত ছিল এবং সহজে বিদ্রোহ করতনা । নারী শ্রমিকদের এবং শিশুশ্রমিকদের পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় কম বেতন দেওয়া হতো ।
      আজকের ক্লাস থেকে যে প্রশ্নগুলি করতে হবে সেগুলি হল - শিল্প  বিপ্লব বলতে কী বোঝো , শিল্প বিপ্লবের বৈশিষ্ট্যগুলি কি কি , কোন দেশে প্রথম শিল্প বিপ্লব হয়েছিল ,শিল্প বিপ্লব কথাটি প্রথম কে ব্যবহার করেছিলেন , কবে প্রথম শিল্প বিপ্লব হয়েছিল , ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম শিল্প বিপ্লব হয়েছিল কেনো , ইউরোপের অন্যান্য দেশে শিল্প বিপ্লব বিলম্বে ঘটেছিল কেনো , শিল্প বিপ্লবের ফলে কি কি পরিবর্তন এসেছিল , শিল্প বিপ্লব উপনিবেশবাদ এর জন্ম দেয় কেনো ,এগুলো । 
        আবার পরবর্তী ক্লাস হবে এবং নতুন প্রশ্ন দেওয়া হবে । ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবক অভিভাবিকাদের কোন প্রশ্ন থাকলে এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে লিখে পাঠাতে হবে ,হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর হলো - 9932881330 . সবাই বাড়িতে থাকুন ও সুস্থ থাকুন । নমস্কার।

Monday, 13 April 2020

বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনলাইন ক্লাস , আজ ইতিহাস ।

দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনলাইন ইতিহাস ক্লাস । আজ চতুর্থ অধ্যায় ।
চতুর্থ অধ্যায়ের বিষযবস্তু  সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা । এখানে সংঘবদ্ধতা কথাটি ব্যবহারের তাৎপর্য হলো 1757 খ্রিস্টাব্দ থেকে ভারতে ব্রিটিশ শাসন শুরু হয় ।1857 খ্রিস্টাব্দে সিপাহী বিদ্রোহে প্রথম ঐক্যবদ্ধভাবে বৃটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ সংঘটিত হয় । এর আগে বৃটিশের বিরুদ্ধে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল কিন্তু সেগুলো নিতান্তই আঞ্চলিক বিদ্রোহ । স্থানীয় কোনো নেতার নেতৃত্বে এই বিদ্রোহগুলি সংঘটিত হয় সেখানে কোনরূপ জাতীয় চেতনার ছাপ ছিলনা । আঠারোশ সাতান্ন খ্রিস্টাব্দে অর্থাৎ উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে সিপাহী বিদ্রোহ , সভা-সমিতি , জাতীয়তাবাদী সাহিত্য প্রভৃতির মাধ্যমে ভারতীয়রা ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল ।
     সিপাহী বিদ্রোহের কারণগুলি ছিল রাজনৈতিক , সামাজিক,  অর্থনৈতিক , ধর্মীয় ,সামরিক প্রভৃতি । রাজনৈতিক কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে লর্ড ডালহৌসি যে স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করেছিল তার ফলে বহু অপুত্রক রাজার উত্তরাধিকারীরা তাদের অধিকার হারিয়েছিল । সামাজিক কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে শাসক ও শাসিতের অর্থাৎ ব্রিটিশ সরকার ও ভারতবাসীর মধ্যে একটা বিস্তর ব্যবধান সৃষ্টি হয়েছিল  যা ভারতবাসীর মনের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছিল আবার ব্রিটিশ সরকার যে কুসংস্কার ও কুপ্রথাগুলির অবসান ঘটিয়েছিল সেগুলিও বহু ভারতবাসী ভালো চোখে মেনে নেয়নি । সতীদাহ রদ , বিধবা বিবাহ প্রবর্তন , গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন প্রভৃতি সংস্কারগুলি ভারতবাসি ভালো চোখে নেয়নি । অর্থনৈতিক কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে ভারতবাসীর চূড়ান্ত দারিদ্রতা । ধর্মীয় অসন্তোষের কারণ ছিল খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারকরা ভারতবাসীর ধর্মীয় ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে আঘাত হেনেছিল এবং ছলেবলে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করতে থাকে এবং তাতে ব্রিটিশ সরকারের মদত ছিল । সিপাহী বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ ছিল রটে যায় এনফিল্ড রাইফেলের যে কার্তুজ ছিল তার টোটা দাঁতে কেটে গুলি ভরতে হতো এবং সেটা গরু ও শূকরের চর্বি মিশ্রিত করা হয়েছে হিন্দু ও মুসলমান সৈনিকের ধর্মনাশ করার জন্য । 
     ব্যারাকপুরে মঙ্গল পান্ডের নেতৃত্বে সিপাহী বিদ্রোহের সূচনা হয় এবং শীঘ্রই সারা উত্তর ভারতে বিদ্রোহ ছড়িয়ে যায় । পরবর্তীকালে তা মহাবিদ্রোহের রূপ নেয় । বীর সাভারকর সিপাহী বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম বলে অভিহিত করেছেন । যদিও , এটা নিয়ে বিতর্ক আছে । অনেকের মতে এই বিদ্রোহ সারা ভারতবর্ষে হয়নি । তাছাড়া বিদ্রোহীদের মধ্যে কোন জাতীয় চেতনা ছিলনা । অনেকে এই বিদ্রোহকে সামন্ততান্ত্রিক বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন কারণ বিদ্রোহীরা নিজ নিজ রাজ্য ফিরে পাওয়ার আশায় এই বিদ্রোহে যুক্ত হয়েছিল তবে এর বিপরীতে বলা যায় সিপাহীদের দ্বারা সূত্রপাত হওয়া এই বিদ্রোহে ভারতের সাধারণ নাগরিকেরা যোগ দিয়েছিল । একটি বিদ্রোহে সেই দেশের সকল নাগরিক যোগ দেয়না কিছু সংখ্যক মানুষ প্রত্যক্ষভাবে যোগ দেয় বাকিরা সমর্থন করে । বাহাদুর শাহকে তাদের সর্বজনগ্রাহ্য নেতা হিসেবে ঘোষণা করেছিল । তাছাড়া জাতীয়তাবাদ ধারণাটি তখনও পর্যন্ত কোথাও গড়ে ওঠেনি । তবে বাঙালি জাতি সেই সময় সিপাহী বিদ্রোহকে সমর্থন করেনি । হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের মতো মুষ্টিমেয় মানুষ সিপাহী বিদ্রোহকে সমর্থন করেছিল । সম্ভবতঃ , বাঙালি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় সেইসময় ইংরাজি শিখে ব্রিটিশ সরকারের অধীনে চাকরি লাভ করতে অধিক আগ্রহী ছিল । 
      সিপাহী বিদ্রোহ অবসান হওয়ার পর ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসনের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনে । ভারতবর্ষের মতো একটি বিরাট দেশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো একটি বণিক প্রতিষ্ঠানের হাতে রাখা ঠিক নয় । এই কারণে ভারত শাসনের দায়িত্ব সরাসরি ব্রিটিশ সরকার নিজে হাতে নেয় এবং ভারতের গভর্নর গভর্নর জেনারেলে পরিণত হন । আঠারোশো আঠান্নো খ্রিস্টাব্দে মহারানী ভিক্টোরিয়ার ঘোষণাপত্রে বলা হয় ব্রিটিশ সরকার ভারতবাসীর ধর্মে হস্তক্ষেপ করবে না এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভারতবাসীকে যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ করা হবে তবে সরকারের উচ্চপদগুলি ইংরেজদের জন্য সংরক্ষিত থাকে । 
        ঊনিশ শতকের শুরুতে বাংলায় ও পরে বোম্বাই ও মাদ্রাজে বেশ কিছু গোষ্ঠী গড়ে ওঠে এই কারণে ঐতিহাসিক অনিল শীল 1857 খ্রিস্টাব্দ থেকে 1885 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে সভা সমিতির যুগ বলে অভিহিত করেছেন । 1836 খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা ,1837 খ্রিষ্টাব্দে জমিদার সভা , 1839 খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি , 1843 খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল দি বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি, 1851 খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন , 1876 খ্রিস্টাব্দে ভারতসভা , 1867 খ্রিস্টাব্দে হিন্দু মেলা প্রতিষ্ঠিত হয় । এছাড়া শিশির কুমার ঘোষ প্রতিষ্ঠা করেন ইন্ডিয়ান লিগ । 1867 খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পুনা সার্বজনিক সভা ।
        1876 খ্রিস্টাব্দে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ভারতসভা । ভারতসভা ভারতীয়দের রাজনৈতিক সচেতন করে তোলে , ভারতবাসীর দাবিদাওয়া সরকারের কাছে তুলে ধরে । অস্ত্র আইন , দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন,ইলবার্ট বিলের বিরুদ্ধে ভারতসভা আন্দোলন গড়ে তোলে । 1867 খ্রিস্টাব্দে নবগোপাল মিত্র ও রাজনারায়ণ বসু হিন্দু মেলা প্রতিষ্ঠা করেন । হিন্দু ঐক্য প্রতিষ্ঠা , স্বদেশী দ্রব্যসামগ্রীর প্রর্দশন , জাতীয়তাবাদের প্রসার ঘটানোই ছিল এই সভার লক্ষ্য ।
     ‌‌ এই প্রশ্নগুলি প্রস্তুত করতে হবে - আঠারশো সাতান্ন খ্রিস্টাব্দের সিপাহী বিদ্রোহকে কি জাতীয় বিদ্রোহ বলা যায় ? সভা সমিতির যুগ বলতে কী বোঝ ?  হিন্দু মেলা কারা কবে প্রতিষ্ঠা করেন ? ভারত সভা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কি ছিল ?  মহারানীর ঘোষণাপত্র বলতে কী বোঝো ? ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন ?
     আগামীদিন পরবর্তী ক্লাস । ছাত্র-ছাত্রী , অভিভাবক - অভিভাবিকা দের কোনও প্রশ্ন থাকলে এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে জানাতে হবে - 9932881330 . ক্লাসের আপডেট পেতে সার্চিং করুন ফেসবুকে ' ভারত নিউজ ' বা ' ভারত নিউজ Page ' অথবা গুগলে সার্চ করুন bharatnewspanskura.blogspot.com . ধন্যবাদ । বাড়িতে থাকুন , সুস্থ থাকুন ।

একটি মডেল স্কুলের চিত্র ।

শোভানগর উচ্চ বিদ্যালয় ২০১৯ সালে যামিনী রায় পুরষ্কার পায় । স্কুলটি মালদহ জেলায় অবস্থিত । স্কুলটির চিত্র একবার দেখে নিন । অনুপ্রেরণা পাওয়ার মতো ।

Sunday, 12 April 2020

লকডাউনে পাঁশকুড়ায় অসহায় মানুষের পাশে মহৎপুরের মুন্সী দম্পতি ।

ভারত নিউজ , পাঁশকুড়া : লকডাউনে পাঁশকুড়ায় অসহায় মানুষের পাশে মহৎপুর গ্রামের মুন্সী দম্পতি । পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ব্লকের এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা শ্রীমতি সুনীতা মুন্সি ও ব্লক তৃণমূল এর কার্যকরী সভাপতি গুরুপদ মুন্সি লকডাউনের পরিস্থিতিতে দুঃস্থ মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ান  এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন । চাল, ডাল ,আলু , পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল ,লবন, সবজি  এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রভৃতি বিতরণ করেন। কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষদের তাঁরা বিতরণ করেন । নস্করদীঘি , জানাবাড় ,শাঁখটিকরি ও মহৎপুর গ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় খাদ্যসামগ্রী বিতরন করেন ।  প্রায় পাঁচশো পরিবারকে তাঁরা সহায়তা করেন । গুরুপদবাবুর রাজনীতিতে আসা ছাত্রজীবনে কলেজে পড়ার সময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হাত ধরে । তাঁর স্ত্রীর রাজনীতিতে হাতেখড়ি স্বামীর হাত ধরে । মুন্সী দম্পতি এখন পুরোপুরি রাজনীতি ও জনসেবার কাজে যুক্ত । গুরুপদবাবু  বলেন বিগত দিনেও মানুষের পাশে ছিলাম এখনও আছি এবং ভবিষ্যতেও নিজের সাধ্যমত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দ্বিধা  করবোনা।

Saturday, 11 April 2020

কুটির শিল্পের মতো তৈরি হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ।

      ভারত নিউজ : করোনা অকস্মাৎ বাড়িয়ে দিয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বিপুল চাহিদা । কিন্তু কোথায় পাওয়া যাবে এতো হ্যান্ডসানিটাইজার । চাহিদা বিপুল যোগান সীমিত । তার উপরে লকডাউন যার ফলে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে । আবার করোনা প্রতিরোধ করতে গেলে বারংবার হাত স্যানিটাইজড করাও আবশ্যক । কিন্তু কোথায় পাওয়া যাবে এত হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিশেষত ব্র্যান্ডেড কোম্পানির হ্যান্ড স্যানিটাইজার । যোগান অব্যাহত রাখতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা কুটির শিল্পে উৎপাদিত হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার । কিন্তু আদৌ কি এতে যথাযথ হাত স্যানিটাইজড হচ্ছে ? এর তো কোনও গুনমান পরীক্ষা করে বাজারে ছাড়া হচ্ছেনা । করোনা ভাইরাসতো কোনও ছেলেখেলার জিনিস নয় । বাজারে যদি চাহিদামত হ্যান্ড স্যানিটাইজারের যোগান না থাকে তাহলে তার বিকল্প হিসেবে গুনমান সম্পন্ন সাবান ব্যবহারের কথা বলুক স্বাস্থ্য দপ্তর । কিন্তু অপরীক্ষিত দ্রব্য যেন করোনা প্রতিরোধের উপকরণ হিসেবে ব্যবহার না হয় । চিত্র - প্রতীকি ।

Friday, 10 April 2020

লকডাউনে সমস্যায় কীর্তন শিল্পীরা ।

ভারত নিউজ : লকডাউনে সমস্যায় বাংলার কীর্তন শিল্পীরা । বাংলার বহু নারী-পুরুষ এই পেশার সাথে যুক্ত আছেন । তারা কিছুটা পেশাগতভাবে এবং বেশিরভাগটাই নেশা বা ভালোবাসার টানে আসেন । লকডাউন ঘোষিত হওয়ার কিছুদিন আগে থেকেই বেশি সংখ্যক মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয় । তখন থেকেই ধর্মীয় কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটতে থাকে । ফলে কীর্তনের আসর বসাও বন্ধ হতে শুরু করে । গ্রামবাংলায় কীর্তন খুবই জনপ্রিয় । পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় মানুষের মনের সাথে কীর্তনের একটা অদ্ভুত টান রয়েছে । কীর্তনের আসর কীর্তনীয়া ও কীর্তন শ্রোতাদের মধ্যে এক নিবিড় মেলবন্ধন ঘটায় । বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে গ্রামবাংলায় প্রায়শই কীর্তনের আসর বসে । কিন্তু অনির্দিষ্টকালের লকডাউন তাদের পেশা , তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে দিয়েছে । নতুন বায়না আশাতো দূরঅস্ত পুরাতন বায়নাগুলিও এই মুহূর্তে স্থগিত হয়ে গেছে । লকডাউন উঠে গেলেও গ্রাম বাংলার অর্থনীতি যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাতে করে আবার কবে কীর্তনের আসর বসানোর মতো পরিস্থিতি আসবে কীর্তনীয়ারা সেটা ভেবেই কুল পায়না । দিনরাত ভগবানের নাম জপই তাদের সাধ্যসাধনা । সেই ভগবান কবে আবার তাদের প্রতি সদয় হবে ও মুখ তুলে চাইবে তা কেউ জানে না । পশ্চিমবঙ্গের কয়েক লক্ষ পুরুষ ও মহিলা কীর্তনের কাজের সাথে যুক্ত । গ্রাম বাংলার কীর্তনের শ্রোতারাও জানেনা কবে আবার তাদের গ্রামে কীর্তনের আসর বসবে ।

Thursday, 9 April 2020

ইএমআই মুকুব ঘোষণায় অনেকেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ।

ভারত নিউজ - করোনা সংকট থেকেই সুরাহা দেওয়ার জন্য ঋণগ্রহীতাদের তিনমাস ইএমআই দিতে হবে না বলে কেন্দ্র সরকার ঘোষণা করেছিল কিন্তু এই ঘোষণাতেই  ঋণগ্রহীতারা আরো সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কারণ তিন মাসের জন্য মুকুব করা হয়নি বলা হয়েছে তিন মাস বাদে দিলে চলবে কিন্তু আদতে এতে অনেক বেশি চাপ পড়বে ঋণগ্রহীতাদের কাছে যেটা মাসে মাসে তাদের দিতে হতো তিন মাস বাদে সেটা গিয়ে অনেক বেশি পরিমাণে দাঁড়াবে তাই এক্ষেত্রে সরকার দুটি অপশন রাখতে পারতো  কারণ সকলে তো বলেনি তারা ইএমআই দিতে পারবেনা । তাহলে যে করোনা সঙ্কটের সময়ও ইএমআই দিতে সক্ষম সে কেন তিন মাসের বোঝা একসাথে নিতে যাবে এটা খুব অকাট্য যুক্তি । সে ক্ষেত্রে যারা আবেদন করতো আমরা ইএমআই দিতে পারছিনা শুধু তাদের ক্ষেত্রেই ওটা প্রযোজ্য হলেই হতো ।এছাড়াও রয়েছে আরো সমস্যা , তিন মাস বাদে একসাথে দিতে গেলে সুদের বোঝা কমানোর কথা বলা হয়নি । এছাড়া ,তিন মাসের ইএমআই মুকুব এর জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে ঋণগ্রহীতাকে যেটি বেশ জটিল পদ্ধতি । সেক্ষেত্রে বাড়িতে কম্পিউটার নেই যার বা অনলাইনের কাজে অভ্যস্ত নয় যে তাকে সাইবার কাফেতে গিয়ে করতে হবে । লকডাউনের কারণে এই মুহূর্তে সাইবার ক্যাফেও বন্ধ । তাই সরকারের এই ইএমআই তিনমাস মুকুবের ঘোষণায় কারোরই বিশেষ আগ্রহ বা উৎসাহ নেই ।

Tuesday, 7 April 2020

নেটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিলি ।

ভারত নিউজ : পূর্ব মেদিনীপুর নেটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আজ রামতারক , চাঠরা প্রভৃতি এলাকায় নাগরিকদের মধ্যে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিলি করা হয় । উল্লেখ্য , তমলুক সংলগ্ন বল্লুক গ্রামেই কোভিড - ১৯ রোগী পাওয়া গিয়েছে এবং এরপর থেকে ওই গ্রামের বহু বাসিন্দাকে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে । ফলে এই সমস্ত এলাকার নাগরিকদের মধ্যে একটা আতঙ্ক আছেই । এই কারণে সংগঠনের পক্ষ থেকে এলাকার নাগরিকদের সচেতন করা এবং মাস্ক , হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিলি করার উদ্যোগ নেওয়া হয় । সেই সঙ্গে জমায়েত নাকরে কিভাবে দাঁড়াতে হবে সে ব্যাপারেও সচেতন করা হয় । সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয় দেশের এই মহামারীর সময়ে আমাদের একটি নৈতিক কর্তব্যবোধ থেকেই যায় । সেই কর্তব্যবোধ এবং মানবিকতাবোধ থেকেই আমরা আজ এই উদ্যোগ নিয়েছিলাম ।

Monday, 6 April 2020

পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ভারত নিউজের পাতায় ।

পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ভারত নিউজের পাতায় দেওয়া হল । এগুলো এখন ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে করতে হবে । স্কুল খুললে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দেখাতে হবে । তবে, কোনওভাবে বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবেনা । দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য আগামীকাল থেকে এবিপি নিউজে ক্লাস শুরু হবে ।

বাংলায় এই প্রথম করোনা মোকাবিলায় বসানো হল স্যানিটাইজেসন টানেল ।

কলকাতা পুরসংস্থার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তরফে এই প্রথম শহরে  এক সাথে বসানো হল  দুটি স্যানিটাইজেসন টানেল ,পাটুলি ও রামগড় বাজারে।এই টানেলে প্রবেশ ...