Friday, 27 November 2020

জেনে নেওয়া যাক রাজ্যের প্রভাবশালী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক জীবন ।

ছাত্রজীবনে কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজে তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি । ২০০১ এর বিধানসভায় তিনি মুগবেড়িয়া বিধানসভা আসনে লড়াই করে পরাজিত হন । ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তমলুক লোকসভা আসনে তৎকালীন হলদিয়ার বেতাজ বাদশা লক্ষ্মণ শেঠের বিরুদ্ধে লড়াই করে পরাজিত হন । ২০০৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে কাঁথি দক্ষিণ আসন থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করে জয়ী হন । উল্লেখ্য , পিতা শিশির অধিকারী পুত্র শুভেন্দু অধিকারীকে কাঁথি দক্ষিণের নিরাপদ আসন ছেড়ে দিয়ে এগরা গিয়েছিলেন লড়াই করতে । পিতা-পুত্র উভয়েই জয়ী হন । গত কয়েকটি বছর দেখা গিয়েছে হলদিয়ার বেতাজ বাদশা বনাম কাঁথির যুবরাজের সেয়ানে সেয়ানে টক্কর । এরপরেই শুরু হয় বিখ্যাত নন্দীগ্রাম আন্দোলন । আন্দোলনে শুভেন্দু অধিকারী একেবারে রণভূমিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং এর পরেই তাঁর রাজনৈতিক জীবনের দ্রুত উত্থান হয় । ২০০৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তমলুক আসনে লক্ষ্মণ শেঠকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন । ২০১১ এর বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরে তাঁর নেতৃত্বে সবকটি আসন তৃণমূল জয়লাভ করে । ২০১৪ র লোকসভা নির্বাচনে তমলুক লোকসভা আসনে তিনি জয়লাভ করেন । ২০১৬ র বিধানসভা নির্বাচনের পর তিনি রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী হন এবং ওই নির্বাচনে তিনি নন্দীগ্রাম আসনে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেন । নন্দীগ্রামের শহীদ জননী এবং ওই আসনের বিধায়ক ফিরোজা বিবিকে পাঁশকুড়া পশ্চিম আসন থেকে জিতিয়ে নিয়ে আসেন । এরপর, তমলুক লোকসভা উপনির্বাচনে নিজের সহোদর দিব্যেন্দু অধিকারীকে দাঁড় করিয়ে বিপুল ভোটে জিতিয়ে নিয়ে আসেন । ২০১১ র বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুরে বামফ্রন্টের শক্ত ঘাঁটিতে তীব্র লড়াই করেন শুভেন্দু অধিকারী এবং জেলার ১৯ টি আসনের মধ্যে ১০ টি আসনে তৃণমূল জয়ী হয় । তিনি আরামবাগ মহকুমার সন্ত্রাস কবলিত আসনগুলোতেও জোর লড়াই করেছিলেন । ২০০৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বামফ্রন্টকে জোর ধাক্কা দেয় এবং জেলা পরিষদ দখলসহ অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত , পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে তৃণমূল । এছাড়া , হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির তিনি চেয়ারম্যান । এইচ আর বি সির অর্থাৎ হুগলি রিভার ব্রিজ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান থেকে তিনি ইস্তফা দিলেন গতকাল । ২০২০ এর ২৭ শে নভেম্বর রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী । আগামী রাজনৈতিক কর্মপন্থা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কয়েকদিন ।

Wednesday, 18 November 2020

আজ থেকে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার কাজ চলবে ১৫ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ।

আজ থেকে ভোটার তালিকায় নাম সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজনের কাজ শুরু হবে। চলবে ১৫ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। আপনার এলাকায় বুথে BLO দের সাথে যোগাযোগ করুন।
১) নতুন নাম তুলতে Form-6
২) অন্য বিধানসভা থেকে ভোট  ট্রান্সফার করার জন্যও Form-6 ( তবে সঠিক স্থানে টিক দেবেন এবং এপিক নং অবশ্যই লিখবেন ) 
৩) পরিবারের কোন ব্যক্তি মারা গেলে, বা কোনো কারণে নাম বাতিল বা বাদ দিতে হলে Form-7 ( তবে যিনি আবেদন করবেন তার পার্ট নং ও সিরিয়াল নং, এপিক নং লিখতে হবে )
৪) আপনার এপিক কার্ডে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধনের জন্য Form-8 ( নতুন ভোটার তালিকা থেকে পার্ট নং ও সিরিয়াল নং লিখবেন এবং কি সংশোধন করতে হবে সেটা বাংলায় বিস্তারিত লিখুন । তবে নামের বা আত্মীয়ের নামের পুরোপুরি পরিবর্তন সম্ভব নাও হতে পারে । )
 ৫) একই বিধান সভার মধ্যে একটি  বুথ থেকে অন্য বুথে ভোট ট্রান্সফার করার জন্য Form 8A . 

কাগজ পত্র নতুন নাম তোলার জন্য যা লাগবে -
1) বয়সের প্রমাণ
2) স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণ
3) পিতা /মাতার ভোটার কার্ড ও লিংকেজ । 

মৃত ব্যাক্তির নাম বাতিল করতে ডেথ সার্টিফিকেট দিতে হবে । 

সংশোধনের জন্য যা সংশোধন করতে চান তার স্বপক্ষে কাগজ দিতে হবে । 

এ বছর আপনার ফর্ম জমা করে BLO' র থেকে জেনে নেবেন আপনার হেয়ারিং হবে কিনা ।  কারণ সকলের হেয়ারিং নাও হতে পারে ।

সব সময় চেষ্টা করবেন আপনার ফর্ম প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই জমা  করতে তাতে ভুল ভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে ।

আরো বিস্তারিত জানতে আপনার এলাকার BLO' র সাথে যোগাযোগ করুন ও তাঁদের সহযোগিতা করুন ।

Monday, 16 November 2020

শুরু হচ্ছে ভোটার লিস্ট সংশোধনের কাজ ।

শুরু হচ্ছে ভোটার লিস্ট সংশোধনের কাজ । নাম তোলা , বাদ দেওয়া, সংশোধন সহ যারা বিবাহসূত্রে বা অন্য কোন কারণে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত হয়েছে তাদের জন্য কোন ফর্ম পূরণ করতে হবে , নথিপত্র কি লাগবে তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হল ।

Sunday, 15 November 2020

বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকীতে মূর্তিতে মাল্যদান করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ।

বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকীতে মূর্তিতে মাল্যদান করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তিনি বলেন বিরসা দরিদ্র মানুষের ত্রাণকর্তা ছিলেন , সমাজের শোষিত মানুষের জন্য কাজ করেছেন এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য । একই সাথে ঝাড়খন্ড রাজ্যের রাজ্যদিবসে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ।

বাংলায় এই প্রথম করোনা মোকাবিলায় বসানো হল স্যানিটাইজেসন টানেল ।

কলকাতা পুরসংস্থার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তরফে এই প্রথম শহরে  এক সাথে বসানো হল  দুটি স্যানিটাইজেসন টানেল ,পাটুলি ও রামগড় বাজারে।এই টানেলে প্রবেশ ...